
ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে মানুষের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের হার অনেক বেশী বেড়ে যাবে সেই লক্ষ্যে অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো এবং উইকিপিডিয়াসহ বেশ কিছু সাইট ফ্রি হয়ে যাবার কথা ছিল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে ‘ইন্টারনেট ডটঅর্গ’ সেবা শুরু হতে দেরি হয়ে যায়। ব্যবহারকারীদের সাথে সাথে ডেভেলপারদের জন্যও কাজে আসবে এই প্লাটফর্ম।
সোমবার ধীর গতির ইন্টারনেট সংযোগেও ফিচার ফোন ও স্মার্ট-ফোনের জন্য উপযোগী ইন্টারনেট ডটঅর্গের এ প্লাটফর্ম চালু করা হয়েছে।
এবার বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে আলোচনার ঝড় তোলা ‘ইন্টারনেট ডটঅর্গ’ সেবায় ডেভেলপারদের যুক্ত করতে একটি উন্মুক্ত প্লাটফর্ম চালু করেছে ফেসবুক। বেশকিছু শর্ত মেনে এই সেবা কনটেন্ট ও অ্যাপ ডেভেলপারদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ভারতে ইন্টারনেট ডটঅর্গ কাজ শুরু করে গত বছরের অক্টোবর থেকে। তখন থেকেই এক ধরনের সমালোচনা শুরু হয়। মূলত মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেলের ‘জিরো প্লাটফর্ম’ নিয়ে বিতর্ক থেকে। তখন অনেকেই এ কার্যক্রমের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
বর্তমানে বিশ্বে এ প্রকল্পের আওতায় ফেসবুক ছয়টি দেশের প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে বলে দাবি করেছে।
বাংলাদেশে এবছর যাত্রা শুরু করলেও ভারতে ইন্টারনেট ডটঅর্গ কাজ শুরু করে গত বছরের অক্টোবর থেকে। তখন থেকেই এক ধরনের সমালোচনা শুরু হয়। মূলত মোবাইল ফোন অপারেটর এয়ারটেলের ‘জিরো প্লাটফর্ম’ নিয়ে বিতর্ক থেকে।কারণ এয়ারটেলের মত সব অপারেটরে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ ছিল না। তখন অনেকেই এ কার্যক্রমের নিরপেক্ষতা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন।
বর্তমানে এ প্রকল্পের আওতায় ছয়টি দেশের প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে বলে দাবি করেছে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক।
ইন্টারনেট ব্যবহারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ভারতের অবস্থান।তবে এ প্রকল্প নিয়ে ভারতে বেশ কিছু দিন থেকে সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক। ‘নেট নিউট্রালিটি’র কারণে দেশটির বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্প থেকে তাদের কনটেন্ট ও সমর্থন উঠিয়ে নিয়েছে।প্রতিবেশী দেশ ভারতে ফেসবুক ও রিলায়েন্স মিলে প্রায় ৩৫ সাইটে দেশটির ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। অন্যদিকে ইন্টারনেট ডটঅর্গ থেকে কনটেন্ট সরিয়ে নিয়েছে ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিয়ারট্রিপ, টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভি এবং টাইমস অব ইন্ডিয়া।এ প্রকল্পের আওতায় ভারতে কিছু নিয়ম মেনে বেশকিছু ওয়েবসাইট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে জানান ইন্টারনেট ডটঅর্গের প্রধান নির্বাহী চার্লস ড্যানিয়েল।
‘নেট নিউট্রালিটি’ বা ইন্টারনেট সমতা নিয়ে গত এপ্রিল থেকে ভারতে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এটিকে সমর্থন জানিয়ে প্রচারণায় নামে মোবাইল ফোন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (সিওএআই)। তাদের প্রচারণায় সাড়া দিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। যাদের বেশিরভাগই স্মার্ট-ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন।
ভারতে এই সেবার বিরূপ কিছু প্রভাব পড়লেও বাংলাদেশে এর কেমন প্রতিক্রিয়া হবে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না।তবে বাংলাদেশের ডেভেলপাররা আপাতত এই সংবাদে কিছুটা আনন্দিত হতেই পারেন।