
ফরমালিন এবং বিষাক্ত কেমিক্যালের ভিড়ে আজকাল কেউ আর টাটকা শাক সবজি ফলের কথা চিন্তাও করতে পারি না। বাজার থেকে দেখে শুনে ফরমালিন এবং কেমিক্যাল মুক্ত শাক-সবজি, ফল খুঁজে বের করাটাও প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এমন সময়ে ফরমালিন মুক্ত ফ্রেশ শাক-সবজি, ফলের সরবরাহ আপনার দোরগোড়ায় এনে দেবে ডাইরেক্ট ফ্রেশ।
ডাইরেক্ট ফ্রেশের কথার আগে একবার দেখে আসি বাংলাদেশে বিষাক্ত খাবারের বর্তমান অবস্থা।
বিশুদ্ধ খাবারের নিশ্চয়তা নিয়ে সংগ্রাম –
বাংলাদেশ সরকার এবং বিভিন্ন খাদ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অনেকদিন ধরেই বিশুদ্ধ খাবারের নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধী এবং অভিযুক্তদের ধরার জন্যও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অন্যায়ের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল এবং ২০ মিলিয়ন টাকা ফাইন হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থাও এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন। ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনও(এফএও) বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশে নিরাপদ খাবারের নিশ্চয়তা নিয়ে।
ফরমালিন নিয়ন্ত্রনঃ সত্যিই কি সম্ভব?
বাংলাদেশে ফরমালিন যুক্ত খাবারের পরিসংখ্যান সত্যিই আতংক সৃষ্টি করে। বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী এদেশের ৭০-৯০% খাবারে ফরমালিন এবং ক্যালসিয়াম কার্বাইডের মত বিষাক্ত উপকরণ মেশানো হয়। এ বিষয়ে, বাংলাদেশ আইন কমিশন এর চেয়ারম্যান এবিএম খাইরুল হক জানান, ‘আমাদের দেশে বিষাক্ত খাবারের প্রতিরোধে অনেক আইন থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আর তাই এসব বিষাক্ত খাবার খেয়ে প্রতিদিনই আমরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি’।
নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তা:
১০ বছর ধরে ঢাকায় থাকা স্যাম ব্রেটজফিডজ জানায়, ‘এখানে বিশুদ্ধ সালাদ পাওয়া যে কতটা কষ্টের তা একেবারেই কল্পনার বাইরে’।
ঠিক এই বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন মিশেল করিম। অর্গানিক খাবার তৈরি এবং সরবরাহ নিয়ে তিনি ব্রেটজফিল্ড এবং গুগল বিজনেস গ্রুপের এডি বেরনটের সাথে পরামর্শ করে ডাইরেক্ট ফ্রেশ চালু করার সিদ্ধান্তও নেন।
এভাবেই অনলাইনে শাক-সবজি, ফল কেনার শপ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ডাইরেক্ট ফ্রেশ। শুধু অর্ডার করলেই ক্রেতার দরজায় খাবার পৌঁছে দেবে তারা। বাসা ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, অফিস এবং হাসপাতালেও তাদের পণ্য পৌঁছে দেয়।
ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং থাইল্যান্ডে কেমিক্যাল ছাড়া উৎপাদিত খাবারই সরবরাহ করে তারা। এমন টাটকা শাক সবজির সরবরাহ পেতে ডাইরেক্ট ফ্রেশ ফ্রেশ এন্ড সেফ এগ্রো প্রডাক্টের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এতে করে বাংলাদেশের কৃষকরাও উন্নত নিয়মে কেমিক্যাল ছাড়াই অর্গানিক ভাবে চাষাবাদ করবে।
এই সেবা শুধু জনগণের উপকারেই আসবে না, অনেক উদ্যোক্তারাই এটি থেকে উৎসাহিত হবে। বাংলাদেশের মত উন্ননশিল দেশে নিজেদের ব্যবসা চালানো এবং এতে সফল হওয়ারও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ডাইরেক্ট ফ্রেশের পরিচালনা পর্ষদ।